৯ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, রাত ১০:১১

দুশ্চিন্তায় একাদশ দ্বাদশের শিক্ষার্থীরা

প্রাইমনারায়ণগঞ্জ.কম

করোনা ভাইরাসের কারনে থমকে আছে একাদশ দ্বাদশ শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় বাসায় বসেই কাটছে অধিকাংশ সময়। পড়ার চাপও নেই আগের মত। কবে নাগাদ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়েও আসেনি বিশেষ কোন নির্দেশনা। ফলে এক অনিশ্চিত ভবিষৎ নিয়ে নিজেদের পাঠদান নিয়মিত বা অনিয়মিত ভাবে চালিয়ে নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকরা বলছেন, এমন পরিস্থিতি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বড় ক্ষতি নিয়ে আসছে। সরকারি ভাবে স্পস্ট নির্দেশনা পাওয়া গেলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সম্পর্কিত প্রস্তুতি নিতে সুবিধা হতো।

সম্প্রতি রাজধানীর একটি নামকরা বেসরকারি কলেজ তাদের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ছাড়াই ২য় বর্ষে উত্তির্ণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মাঝে পৌঁছুলে তারাও একই দাবী জানাচ্ছেন। আবার কেউবা বলছেন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মত অনলাইনেই নিয়ে নেয়া হোক প্রথম বর্ষের পরীক্ষা। তবে শিক্ষকরা বলছেন এখন পর্যন্ত এমন কোন নির্দেশনা না পাওয়ায় এসব নিয়ে শিক্ষার্থীদের সময় নষ্ট করা উচিৎ হবে না। তার চেয়ে বাসায় অনলাইন ক্লাসে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে অনুশীলন করাটাই উত্তম হবে শিক্ষার্থীদের জন্য।

তোলারাম কলেজে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, করোনায় বাসায় থাকার কারনে ছেলেমেয়েরা পড়ার আগ্রহ স্বাভাবিক ভাবেই হারিয়ে ফেলেছে। কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে না পারায় তারাও পড়তে চাচ্ছে না। যদি তারা জেনে নিত ২ মাস কিংবা ৪ মাস পরে পরীক্ষা হবে তাহলে সেই অনুযায়ী পড়াশুনা চালিয়ে নিত। কিন্তু দিনের পর দিন বাসায় থেকে তাদের বিরক্তি ধরে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।
নারায়ণগঞ্জ কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, কলেজে সরাসরি ক্লাসে অংশ নেয়া আর অনলাইনে অংশ নেয়ার ভেতর বেশ পার্থক্য বিরাজমান। তার উপর কবে আমাদের পরীক্ষা হবে আর কবে ২য় বর্ষে উঠবো জানিনা। কিছুটা হতাশা কাজ করছে এসব বিষয় নিয়ে।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজের অধ্যক্ষ বেলা রানী সিংহ বলেন, সরকারি সিদ্ধান্তের বাইরে আমাদের কোন কিছু নিজ থেকে করার সম্ভব নয়। কবে নাগাদ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বা বিকল্প কোন উপায় নিয়েও আমাদের কিছু জানানো হয়নি। এ কারনে শিক্ষার্থীদের অগ্রিম কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমরা আমাদের নিয়মিত অনলাইন ক্লাস চালু রেখেছি। শিক্ষার্থীদের আর্থিক সমস্যা হলেও তাও দেখা হচ্ছে। তাদের বলা হয়েছে যেকোন সমস্যায় আমাদের জানাতে।

একই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল হক রুমন রেজা বলেন, আমরাও সরকারি সিদ্ধান্তের বাইরে যাবার বিপক্ষে। তবে উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বাত্মক সহায়তা করা হচ্ছে অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে। যেহেতু এখন শিক্ষার্থীদের প্রধান বিষয় তাদের চাপ্টার শেষ করা সেহেতু বর্ষ পরিবর্তন পরীক্ষা অতটা মূখ্য বিষয় নয়। আমরা অনলাইন ক্লাসগুলো এমনভাবেই সাজিয়েছি যাতে ১ম ও ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা যৌথভাবে ক্লাসে অংশ নিয়ে তাদের সিলেবাস সম্পন্ন করতে পারে। সুতরাং শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়ে খুব বেশী দুশ্চিন্তা করার কারণ নেই।

বাছাইকৃত সংবাদ

No posts found.